Home » এএসআই এর বেতন কত ২০২৫ । ASI police jobs

এএসআই এর বেতন কত ২০২৫ । ASI police jobs

asi police

পুলিশের এএসআই(ASI) মানে কি?

বাংলাদেশ পুলিশে  এএসআই(ASI) মানে হচ্ছে সহকারী সাব- ইন্সপেক্টর (Assistant Sub-Inspector)। পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল(পিআরবি) অনুসারে একজন এএসআই হচ্ছে পুলিশের হেড কনস্টেবল এর পরবর্তী পদ কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর এর নিম্ন পদ। এটি পুলিশের নন-গেজেটেড পদ। বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে এই পদে জনবল নিয়োগের কথা ভাবছে। যারা পুলিশে চাকরি করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এটি একটি লোভনীয় পদ।

এএসআই(ASI) এর পূর্ণরূপ কি?

এএসআই(ASI) এর পূর্ণরূপ হলো: Assistant Sub-Inspector যাকে বাংলায় বলে সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক। একজন এএসআইকে পূর্বে দারোগা বলা হতো। এদের কাজ হলো সাব-ইন্সপেক্টরকে সকল কারণিক ও রুটিন মাফিক কাজে সহায়তা করা।

পুলিশের এএসআই কত তম গ্রেড? (ASI Police Grade)

বাংলাদেশ পুলিশে পুলিশের এএসআই এর বেতন গ্রেড ১৪তম। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী এ পদের চাকরিজীবীরা নন-গেজেটেড কর্মকর্তা। তবে এটি তৃতীয় শ্রেণির পদ। বাংলাদেশ পুলিশে একমাত্র সাব-ইন্সপেক্টর পদটি ২য় শ্রেণির নন-গেজেটেড পদ।

এএসআই এর বেতন কত? (ASI Police salary)

জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী একজন পুলিশের এএসআই ১৪তম গ্রেডে বেতন পান। এ গ্রেড অনুযায়ী পুলিশের এএসআই এর মুল বেতন ১০,২০০ টাকা। বেতন স্কেল- ১০২০০ – ২৪৬৮০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন সুবিধাসহ মোট  ২২ হাজার ৪২০ টাকা প্রায়।

এএসআই এর মুল বেতন= ১০,২০০ টাকা,

বাড়িভাড়া=  ৬১২০ টাকা,

চিকিৎসাভাতা= ১৫০০ টাকা,

শিক্ষাভাতা= ১০০০ টাকা,

বিশেষ ভাতা = ১০০০ টাকা,

ঝুঁকিভাতা=  ১৮০০ টাকা,

যাতায়াত ভাতা= ৩০০ টাকা,

টিফিন= ২০০ টাকা,

ধৌতভাতা= ৩০০ টাকা।

বর্তমান বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রতি বছর ৫% হারে মুল বেতন থেকে বেতন বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিভিন্ন উৎসব বোনাস তো আছেই।

যেভাবে আবেদন করবেন

পুলিশের এএসআই এর কাজ কি?

সাধারনত পুলিশের কাজের কোন লিমিট থাকেনা। পুলিশকে সকল ধরনের কাজ করতে হয়।  বাংলাদেশ পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) অনুযায়ী এএসআই এর কাজ নিম্নরুপ:

প্রবিধান ২০৭। এএসআই ‘র দায়িত্ব (১৮৬১ সালের ৫ নং আইনের ১২ ধারা)
(ক) এসআইকে সকল কারণিক ও রুটিন মাফিক কাজে সহায়তা করা।
(খ) এফআইআর, মামলার ডায়েরী, সাধারণ ডায়েরী এবং গ্রাম অপরাধ নোটবুক ব্যতীত এএসআই সকল রিটার্ন ও রেজিস্ট্রারের দেখাশোনা করবেন। উল্লেখ্য যে থানা মোট ৮৬টি রেজিস্টার থাকে।
(গ) যখন ওসি এবং জুনিয়র এসআই (থাকিলে) অনুপস্থিত বা অসুস্থ সিআরপিসি ৪ (ত)-এ অনুযায়ী সিনিয়র এসএসআই ওসি’র দায়িত্ব গ্রহণ করিতে পারেন ।
(ঘ) তাহাকে থানা হইতে অব্যাহতি লওয়া সম্ভব হইলে পর্যবেক্ষকের অধীনে লোেকদের বিষয় জানিবার জন্য নৈশ সফর, জরিমানা আদায়ের জন্য তাহাদের জীবনপদ্ধতি জানা, সাধারণ প্রকৃতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর খোঁজখবর লওয়া, টহল এবং গার্ড, এসকর্ট অথবা অনুরূপ দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
[প্রবিধান: ২০৭(ক) (খ)(গ),পিআরবি-১৯৪৩] মোতাবেক
১। কেস ডায়েরী (Case Diary ) লেখা। (প্রবিধান ২৬৩,২৬৪,ফৌঃকাঃবিঃ ১৭২,বিপিনং ৩৮)
২। সাধারণ ডায়েরী (General Diary) লেখা। (প্রবিধান ৩৭৭,ফৌঃকাঃবিঃ ১৫৪,১৫৫,বিপিনং ৬৫,পুলিশ আইন ৪৪ ধারা)
৩। গ্রেফতারী পরোয়ানা (Warrant of Arrest) (W/A) তামিল করা। (প্রবিধান ৩২৩,৩১৫,পুলিশ আইন ২৩ ধারা)
৪। অস্বাভাবিক মৃত্যুর খোঁজখবর লওয়া। (প্রবিধান ৩০০(ক)বিধি)
৫। টহল, গার্ড ও এসকর্ট ডিউটি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা। (প্রবিধান ৩৫৬/৭০৩ বিধি)
৬। ভিআর তদন্ত করা। (প্রবিধান ২১১ বিধি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *